মোঃ শাহ্ জালাল: যশোরের সব কয়টি উপজেলাতে রয়েছে রেলপথ। শুধুমাত্র রেলপথ নেই মণিরামপুর ও কেশবপুর উপজেলাতে। এই দুই উপজেলাকে রেলপথের আওতাভুক্ত করার দাবিতে সোশ্যাল মিডিয়া ফেসবুকে তোলপাড় চলছে স্থানীয় লক্ষ লক্ষ মানুষ ও হাজার হাজার ফেসবুক ব্যবহারকারীর।

গত শুক্রবার থেকে মণিরামপুর ও কেশবপুর রেলপথ চাই এমন শিরোনামে ফেসবুকে হাজার হাজার পোস্ট ভাসছে। ফেসবুকের এই দাবির পক্ষে- বিপক্ষে ও ব্যঙ্গাত্মকভাবে রয়েছে বিভিন্ন মন্তব্য। ইতিমধ্যে এই দুই উপজেলার জনসাধারণ রেলপথের দাবিতে মানববন্ধন, স্মারকলিপি প্রদানসহ সংবাদ সম্মেলন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। সারাদিন ফেসবুকের শতশত আউডির পোস্ট ঘুরে দেখা গেছে পোস্টে সবাই উল্লেখ করেছেন ‘আপনার সবাই অবগত আছেন যে- নাভারন হতে সাতক্ষীরা পর্যন্ত ৪৮ কিলোমিটার নতুন রেলপথ নির্মাণের প্রস্তাব করা হয়েছে। যার কার্যক্রম অতি দ্রুত শুরু হবে।

যে পথে ঢাকা থেকে পদ্মা সেতু, বসুন্দিয়া, যশোর, নাভারন হয়ে রেল সাতক্ষীরা যাবে। বসুন্দিয়া হতে নাভারনের দূরত্ব ৪৪ কিলোমিটার। আবার নাভারন হতে সাতক্ষীরা ৪৮ কিলোমিটার। বসুন্দিয়া হতে সাতক্ষীরার দুরত্ব হবে ৯২ কিলোমিটার। কিন্তু যদি এই রেলপথটি পরিবর্তন করে বসুন্দিয়া হতে মণিরামপুর, কেশবপুর, সাগরদাঁড়ি হয়ে সাতক্ষীরায় নির্মাণ করা যায়, তবে বসুন্দিয়া হতে সাতক্ষীরার দুরত্ব হবে মাত্র ৪৯ কিলোমিটার। দুরত্ব কম হবে (৯২-৪৯ )=৪৩ কিলোমিটার। সব মিলিয়ে যেটা দেখা যাচ্ছে যে, রেলপথটি বসুন্দিয়া হতে মনিরামপুর, কেশবপুর, সাগরদাঁড়ি হয়ে সাতক্ষীরা নির্মাণ করা হয়- তবে নাভারন হতে সাতক্ষীরা পথের চেয়ে মাত্র ১ কিলোমিটার বেশি রেলপথ নির্মাণ করতে হবে। অতিরিক্ত কোন অর্থ ব্যয়ের প্রয়োজন হবে না।

শুধুমাত্র সমীক্ষা ব্যয়টুকু বেশি হবে। এতে করে যশোরের সবকটি উপজেলা রেল নেটওয়ার্কের আওতায় আসবে। এই দাবিটি আমরা কি আমরা করতে পারিনা? এই ধরনের পোস্টে যশোর জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি মোস্তফা কামাল মন্তব্য করেছেন রেললাইন সময়ে যৌক্তিক দাবি যার পূর্ণ সমার্থন রইল। সাংস্কৃতিক কর্মী শান্তনু চক্রবর্তী মন্তব্য করেছেন- বসুন্দিয়া থেকে কেনো? যশোর থেকে সাতক্ষীরা রেলপথ নির্মাণ বোধহয় আরো যুক্তিসঙ্গত। জোর দাবী জানানো উচিৎ। উদ্যোগ গ্রহণ করেন। আসেন মণিরামপুরে মানব বন্ধনের আয়োজন করি।

আপনার থেকে উদ্যোগটা গৃহীত হোক। ফেসবুকে আন্দোলনের ডাক দেন। পাশে আছি। শুভেচ্ছা! কেশবপুর উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম আহবায়ক হাবিবুর রহমান খান মুকুল মন্তব্য করেছেন, ‘দেশের পর্যটন শিল্পের বিকাশে এই জনগুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প বাস্তবায়নের দাবি জানাচ্ছি।’ কেশবপুর উপজেলার কবির হোসেন নামে একজন মন্তব্য করেছেন- যশোর থেকে বাড়ি এসেছি। যশোর থেকে কেশবপুর পর্যন্ত আসতে যে সময় লাগছে।

কেশবপুর প্রেস ক্লাবের পূর্বে যে তেলপাম রয়েছে ওখান থেকে মঙ্গলকোট পর্যন্ত বাসে আসতে একই সময় লেগেছে। মোটকথা যশোর থেকে বাড়ি ফিরতে অনেক বেশি সময় লাগে। ভাড়ার পরিমাণ ও অনেক বেশি। যাত্রীরা অনেক ভোগান্তির শিকার হয়, বাসে উঠে। শান্তিতে যাতায়াত করা যায় না।

রেললাইন হলে আমাদের সবার অনেক সুবিধা হবে, বাংলাদেশ এত এগিয়ে যাচ্ছে, আমেরিকার থেকেও উন্নত । কিন্তু আমাদের মনিরামপুর কেশবপুর উন্নয়নের ছোঁয়া লাগছে না, অথচ মনিরামপুর কেশবপুরে নেতা নেত্রীর অভাব নেই। মণিরামপুরের ফেসবুক ব্যবহার’কারী মোঃ শরিফুল ইসলাম শরিফ মন্তব্য করেছেন- সম্পুর্ন তথ্য পেলে অবশ্যয় সাংবাদিক সম্মিলন সহ সকল ধরনের উদ্দোগ নেয়ার আপ্রান চেষ্টা করবো ইনশাল্লাহ।

 

কলমকথা/সাথী